নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকের অভিযোগ, বিদ্যুৎ–সংযোগ নিতে চাইলে ঘুষ দাবি করেন ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এর প্রতিবাদ করায় তাঁরা তাঁকে মারধর করেছেন।
ওই সাংবাদিকের নাম মো. করিম (৬৫)। তিনি দৈনিক সবুজ নিশান নামের একটি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। মো. করিম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের থানায় ডেকেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিউবোর বেগমগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহদাত ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি। তিনি (মো. করিম) অফিসের ভেতরে কথা বলার একপর্যায়ে ওনার কাছে ঘুষ দাবি করা হয়েছে বলে মুঠোফোনে ভাগনেকে জানাচ্ছিলেন এবং উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন। তাই একটু কথা–কাটাকাটি হয়েছে। ঘুষ দাবির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই গ্রাহক নিজে না এলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না।
লিখিত অভিযোগে মো. করিম উল্লেখ করেন, বুধবার দুপুরে তিনি তাঁর ভাগনে বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানপুর গ্রামের মো. রাশেলের (৪৫) ভবনের জন্য বিউবোর বেগমগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ–সংযোগের জন্য আবেদন করতে যান। এ সময় কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনের নকশা দেখে একবার ৮টি, আরেকবার ১৬টি এবং সর্বশেষ ২৪টি মিটার বসাতে হবে বলে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শাহদাত ইসলামের কক্ষে যান তিনি। সেখানে কথা বলার একপর্যায়ে ঘুষ দাবির বিষয়টি ভাগনেকে কল করে জানানোর সময় কক্ষে থাকা বিউবোর কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন তাঁর ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা তাঁর গলা টিপে ধরেন ও তাঁকে মারধর করেন।
মো. করিম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন ও বেগমগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলী শাহদাত ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলামসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেছেন।